| তোমার কথা বলতে বলতেই আমার সব ঠিক হয়ে গেছে | কবিতা | আবেগঘন লেখা" میری بات بن گئی ہے تیری بات کرتے کرتے

 

میری بات بن گئی ہے تیری بات کرتے کرتے

میری بات بن گئی ہے تیری بات کرتے کرتے

تیرے شہر میں میں آؤں تیری نعت پڑھتے پڑھتے

تیرے عشق کی بدولت مُجھے زندگی مِلی ہے

مُجھے موت آقا آئے تیرا ذکر کرتے کرتے

کِسی چیز کی طلب ہے نہ ہے آرزو بھی کوئی

تو نے اتنا بھر دیا ہے کشکول بھرتے بھرتے

میرے سونے سونے گھر میں کبھی رونقیں عطا ہوں

میں دیوانہ ہو گیا ہوں تیری راہ تکتے تکتے

ہے جو زندگانی باقی یہ ارادہ کر لیا ہے

تیرے منکروں سے آقا میں مروں گا لڑتے لڑتے

ناصرؔ کی حاضری ہو کبھی آستاں پہ تیرے

کہ زمانہ ہو گیا ہےمُجھے آہیں بھرتے بھرتے


নিচে উর্দু নাতে রাসুল ﷺ এর বাংলা অনুবাদ দেওয়া হলো:

*তোমার কথা বলতে বলতেই আমার সব ঠিক হয়ে গেছে,*  

*তোমার নাত পড়তে পড়তেই আমি তোমার শহরে এসে পড়েছি।*  

*তোমার প্রেমের বদৌলতে আমি পেয়েছি জীবনের অর্থ,*  

*ইচ্ছা আছে যেন মৃত্যুও আসে — তোমার জিকির করতেই করতেই।*  

*আমার আর কিছু চাওয়ার নেই, কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষাও নেই,*  

*তুমি আমার ভিক্ষার থলে (কাশকোল) এতটাই ভরে দিয়েছো, দিতে দিতে।*  

*আমার শুনশান ঘরেও যেন কোনো একদিন আসুক বরকতের আলো,*  

*আমি তো তোমার পথ চেয়ে চেয়ে পাগল হয়ে গেছি।*  

*যতদিন জীবন আছে, এক ইরাদা করে নিয়েছি,*  

*হে প্রিয়নবী ﷺ, তোমার অস্বীকারকারীদের সঙ্গে লড়তে লড়তে মরব।*  

*নাসিরের (কবির নাম) একদিন যেন হাযিরি হয় তোমার দেহলিজে,*  

*কারণ অনেক দিন হলো, আমি শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলেছি।*  

নিচে প্রতিটি পংক্তির ব্যাখ্যা দেওয়া হলো—    

*১. “তোমার কথা বলতে বলতেই আমার সব ঠিক হয়ে গেছে,”*  

*ব্যাখ্যা:* কবি বলছেন, তিনি যখন থেকে নবীজির (ﷺ) কথা বলতে শুরু করেছেন, তখন থেকেই জীবনে বরকত এসেছে, সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে।  

*২. “তোমার না পড়তে পড়তেই আমি তোমার শহরে এসে পড়েছি।”*  

*ব্যাখ্যা:* নবীজির প্রশংসাগীতি (নাত) পড়তে পড়তে কবির অন্তর এতটাই প্রেমে উদ্বেলিত হয়েছে যে তিনি নিজেই যেন পবিত্র মদীনায় পৌঁছে গেছেন — বাস্তবে হোক বা কল্পনায়।

*৩. “তোমার প্রেমের বদৌলতে আমি পেয়েছি জীবনের অর্থ,”*  

*ব্যাখ্যা:* নবীজির প্রতি ভালোবাসা কবিকে জীবনের প্রকৃত মানে বুঝিয়েছে — তাঁর জীবন অর্থপূর্ণ হয়েছে এই প্রেমে।

*৪. “ইচ্ছা আছে যেন মৃত্যুও আসে — তোমার জিকির করতেই করতেই।”*  

*ব্যাখ্যা:* কবি এমনভাবে নবীজিকে ভালোবাসেন যে মৃত্যুর সময়ও নবীর জিকির করতে করতে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে চান।

*৫. “আমার আর কিছু চাওয়ার নেই, কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষাও নেই,”*  

*৬. “তুমি আমার ভিক্ষার থলে (কাশকোল) এতটাই ভরে দিয়েছো, দিতে দিতে।”*  

*ব্যাখ্যা:* নবীজির মাধ্যমে কবি সব কিছুই পেয়েছেন। তাই আর কিছু চাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না — সবকিছুতেই তিনি তৃপ্ত।

*৭. “আমার শুনশান ঘরেও যেন কোনো একদিন আসুক বরকতের আলো,”*  

*৮. “আমি তো তোমার পথ চেয়ে চেয়ে পাগল হয়ে গেছি।”*

*ব্যাখ্যা:* কবি তাঁর নিঃসঙ্গ জীবনেও নবীর রহমতের আলো কামনা করছেন। আর সেই আশায় তিনি দিনরাত প্রহর গুনছেন, অপেক্ষা করতে করতে তিনি যেন উদ্ভ্রান্ত প্রেমিক হয়ে পড়েছেন।

*৯. “যতদিন জীবন আছে, এক ইরাদা করে নিয়েছি,”*  

*১০. “হে প্রিয়নবী ﷺ, তোমার অস্বীকারকারীদের সঙ্গে লড়তে লড়তে মরব।”*  

*ব্যাখ্যা:* নবীজির ভালোবাসায় এতটাই দৃঢ় তিনি যে জীবন থাকতেও নবীর দুশমনদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং সেখানেই মৃত্যুকে স্বাগত জানাতে চান।

*১১. “নাসিরের (কবির নাম) একদিন যেন হাযিরি হয় তোমার দেহলিজে,”*  

*১২. “কারণ অনেক দিন হলো, আমি শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলেছি।”*  

*ব্যাখ্যা:* কবি 'নাসির' প্রার্থনা করছেন যেন কোনো একদিন তিনি নবীর রওজা শরীফে গিয়ে হাযিরি দিতে পারেন, কারণ বহুদিন ধরে তিনি শুধুই কাঁদছেন ও দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন নবীর প্রতি ভালোবাসায়।

------------------------

উপসংহার:

এই কবিতাটি একজন প্রেমময় আশেকে রাসুল ﷺ-এর হৃদয়ের গভীর আকুতি ও ভালবাসার প্রকাশ। এটি শুধুই একটি আবেগ নয়, বরং এক নিঃস্বার্থ আত্মসমর্পণ।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
মতামত লিখুন
comment url