بھر دو جھولی میری یا محمد | ভরে দাও আমার ঝুলি, হে মুহাম্মদ সা
بھر دو جھولی میری یا محمد لوٹ کر میں نہ جاؤں گا خالی
کچھ نواسوں کا صدقہ عطا ہو در پہ آیا ہوں بن کر سوالی
حق سے پائی وہ شان کریمی مرحبا دونوں عالم کے والی
اس کی قسمت کا چمکا ستارہ جس پہ نظر کرم تو نے ڈالی
زندگی بخش دی بندگی کو آبرو دین حق کی بچا لی
وہ محمد کا پیارا نواسا جس نے سجدے میں گردن کٹا لی
حشر میں ان کو دیکھیں گے جس دم امتی یہ کہیں گے خوشی سے
آ رہے ہیں وہ دیکھو محمد جن کے کندھے پہ ہے کملی کالی
عاشق مصطفیٰ کی اذاں میں اللہ اللہ کتنا اثر تھا
عرش والے بھی سنتے تھے جس کو کیا اذاں تھی اذان بلالی
کاش پرنمؔ دیار نبی میں جیتے جی ہو بلاوا کسی دن
حال غم مصطفیٰ کو سناؤں تھام کر ان کے روضے کی جالی
আরো দেখুন!
নিচে উর্দু নাতে রাসুল (স.) এর বাংলা অনুবাদ দেওয়া হলো:
ভরে দাও আমার ঝুলি, হে মুহাম্মদ ﷺ —
খালি হাতে যেন আর ফিরে না যাই।
নবীদের দৌহিত্রদের (ইমাম হাসান ও হোসাইন) দান-সদকা হোক আমার নসিবে,
আমি এসেছি দরবারে, একজন প্রার্থনাকারী হয়ে।
আল্লাহর কাছে পেয়েছেন যে দানশীলতার মর্যাদা,
দু’জাহানের প্রভু আপনি — সালাম হোক আপনার ওপর!
সে ব্যক্তির ভাগ্যের তারা জ্বলে ওঠে,
যার দিকে আপনি একটুখানি দয়ার দৃষ্টিও ফেলেন।
আপনি জীবনের মর্যাদা দিয়েছেন বান্দাগীরিতে,
আর হকের দ্বীন (ইসলাম) রক্ষা করে দিয়েছেন সম্মানের সাথে।
তিনি নবী মুহাম্মদের প্রিয় দৌহিত্র (ইমাম হুসাইন),
যিনি সিজদায় নিজের গলা কেটে শহীদ হয়েছিলেন।
হাশরের ময়দানে যখন তাঁরা (আহলে বাইত) আসবেন,
তখন উম্মতিরা আনন্দে বলবে —
দেখো, আসছেন সেই মুহাম্মদ ﷺ, যাঁর কাঁধে কালো চাদর ছিল।
নবীপ্রেমিকের আজানের মধ্যে ছিল কতখানি প্রভাব,
যে আজান শুনতো স্বয়ং আরশের অধিপতিরাও!
কী আজান ছিল সেটি — সে ছিল বেলালের আজান।
আহা, যদি ‘পরনম’ (কবির নাম) জীবিতাবস্থায় পেত নবীর শহরে যাওয়ার সুযোগ,
তবে সে তাঁর রওজা পাকের জালি ধরে কেঁদে কেঁদে বলত নিজের দুঃখের কথা।
---
এই নাতে রাসুল ﷺ-এর দরবারে দোয়া, আশা, ভালবাসা ও আহলে বাইতের সম্মান প্রকাশ পেয়েছে।
এই কবিতাটি একজন গভীর নবীপ্রেমিকের হৃদয় থেকে উৎসারিত মোনাজাত ও ভালোবাসা-মিশ্রিত নিবেদন।
নিচে ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
১. “ভরে দাও আমার ঝুলি, হে মুহাম্মদ ﷺ…”
- কবি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে উদ্দেশ করে দোয়ার ভঙ্গিতে বলছেন: তিনি যেন খালি হাতে না ফেরেন। তিনি আশা করছেন, নবীজি ﷺ দয়াপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার প্রার্থনা কবুল করবেন।
২. “নবীদের দৌহিত্রদের দান-সদকা হোক আমার নসিবে…”
- নবীজি ﷺ-র দুই দৌহিত্র ইমাম হাসান ও হোসাইন (রা.)-এর দানশীলতা ও দয়ার কথা তুলে ধরে কবি তাদের বারগাহ থেকে কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছেন।
৩. “আল্লাহর কাছে পেয়েছেন যে দানশীলতার মর্যাদা…”
- নবীজি ﷺ আল্লাহর পক্ষ থেকে “দাতার মর্যাদা” পেয়েছেন, তিনি দুনিয়া ও আখেরাতের নেতা — কবি তাঁর প্রতি সালাম পেশ করছেন।
৪. “সে ব্যক্তির ভাগ্যের তারা জ্বলে ওঠে…”
- নবীজি ﷺ-র দৃষ্টির একটি ঝলকই কাউকে সম্মান ও সৌভাগ্যশালী বানিয়ে দিতে পারে — এটাই নবীর দয়ার পরিচয়।
৫. “আপনি জীবনের মর্যাদা দিয়েছেন বান্দাগীরিতে…”
- রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর পুরো জীবন বান্দা হয়ে কাটিয়েছেন। তাঁর মাধ্যমে ইসলাম রক্ষা পেয়েছে এবং দ্বীনের ইজ্জত বহাল রয়েছে।
৬. “তিনি নবী মুহাম্মদের প্রিয় দৌহিত্র…”
- এখানে ইমাম হুসাইনের (রা.) কারবালায় শহীদ হওয়া এবং সিজদারত অবস্থায় গলা কেটে শহীদ হওয়া — সেই আত্মত্যাগের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এটি উম্মাহর জন্য চরম শিক্ষণীয়।
৭. “হাশরের ময়দানে যখন তাঁরা (আহলে বাইত) আসবেন…”
- হাশরের দিন আহলে বাইত (নবী পরিবারের সদস্যরা) যখন উপস্থিত হবেন, উম্মত তাঁদের দেখে নবীজি ﷺ-এর স্মরণে আবেগে আপ্লুত হবে।
৮. “নবীপ্রেমিকের আজানের মধ্যে ছিল কতখানি প্রভাব…”
- এখানে হজরত বেলাল (রা.)-এর আজানকে স্মরণ করা হয়েছে, যিনি নবীপ্রেমে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত ছিলেন। বলা হচ্ছে, তাঁর আজান ছিল এতখানি গভীর যে তা আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যেত।
৯. “আহা, যদি ‘পরনম’ জীবিতাবস্থায় পেত…”
- কবি ‘পরনম’ (সম্ভবত কবির ছদ্মনাম) আফসোস করছেন যে জীবদ্দশায় তিনি মদিনায় যেতে পারেননি। তিনি কল্পনা করছেন যদি যেতেন, তাহলে রওজায় দাঁড়িয়ে চোখের জলে নবীর সামনে নিজের দুঃখ উজাড় করে দিতেন।
সারসংক্ষেপে:
এই কবিতা একধরনের নবীপ্রেমের ইমোশনাল বহিঃপ্রকাশ, যেখানে কবি নবীজিকে দোয়া প্রার্থনা, আহলে বাইতের মর্যাদা, বেলাল (রা.)-এর আজান, এবং কারবালার আত্মত্যাগ— সব মিলিয়ে একটি হৃদয়স্পর্শী চিত্র তুলে ধরেছেন।