সাত শ্রেণির মানুষকে কিয়ামতের দিনে আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন | হাদীস | কিয়ামত | আরশের ছায়া |
সাত শ্রেণির মানুষকে কিয়ামতের দিনে আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন।
📜 হাদিস (আরবিতে):
سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللَّهُ فِي ظِلِّهِ يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلُّهُ:
– الإِمَامُ الْعَادِلُ
– وَشَابٌّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ اللَّهِ
– وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِي الْمَسَاجِدِ
– وَرَجُلانِ تَحَابَّا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ
– وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ: إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ
– وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لَا تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ
– وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ
বাংলা অনুবাদ:
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“সাত শ্রেণির মানুষকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর আরশের ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। তারা হলো—
1. ন্যায়পরায়ণ শাসক।
2. যুবক, যে আল্লাহর ইবাদতে তার যৌবন অতিবাহিত করেছে।
3. ঐ ব্যক্তি, যার হৃদয় মসজিদের সাথে যুক্ত।
4. দু’জন ব্যক্তি যারা আল্লাহর ভালোবাসায় একত্রিত হয়েছে এবং আল্লাহর জন্যই বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
5. ঐ ব্যক্তি, যাকে একজন সুন্দরী ও মর্যাদাশালী নারী কুপ্রস্তাব দেয়, আর সে বলে: ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি’।
6. ঐ ব্যক্তি, যে এমন গোপনে সদকা করে যে, তার ডান হাত যা ব্যয় করে বাম হাত তা জানে না।
7. ঐ ব্যক্তি, যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার চোখ অশ্রুতে ভিজে যায়।”
📚 রেফারেন্স:
- সহিহ বুখারী, হাদীস ৬৬০
- সহিহ মুসলিম, হাদীস ১০৩১
✅ সাত শ্রেণি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা (সামনে বিস্তারিত ব্যাখ্যাও আছে)
১. ন্যায়পরায়ণ শাসক:
যিনি আল্লাহভীতির সাথে ইনসাফ করেন প্রজাদের ব্যাপারে।
২. ঈমানদার যুবক:
যে তার যৌবনকাল আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়েছে।
৩. মসজিদপ্রেমী হৃদয়:
যার হৃদয় মসজিদের সাথে লেগে থাকে (প্রতি নামাজে মসজিদে আসা-যাওয়া করে)।
৪. দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর জন্য পরস্পরকে ভালোবাসে:
দেখা-সাক্ষাৎ ও বিচ্ছেদ — সবকিছু আল্লাহর জন্যই।
৫. এক যুবককে (অপরিচিত) সুন্দরী নারী কুপ্রস্তাব দিলে সে বলে:
"আমি আল্লাহকে ভয় করি" — আর পাপ থেকে ফিরে যায়।
৬. গোপনে সদকা প্রদানকারী:
যে এমনভাবে দান করে, ডান হাত যা দেয়, বাম হাতও তা জানে না।
৭. যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে অশ্রুপাত করে:
একান্ত নির্জনে আল্লাহর কথা মনে করে চোখে পানি আসে।
"সাত শ্রেণির মানুষ যারা আল্লাহর আরশের নিচে ছায়া পাবে" বিস্তর ব্যাখ্যা:
প্রথম শ্রেণি:
✅ হাদিসে বলা হয়েছে:
*"إِمَامٌ عَادِلٌ"*
অর্থ: ন্যায়পরায়ণ নেতা বা শাসক।
(সহিহ বুখারী ও মুসলিম)
📌 "ইমামুন আদিল" কারা?
‘ইমাম’ মানে শুধু রাষ্ট্রপ্রধান নয়, বরং—
- পরিবারপ্রধান
- প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল
- ব্যবসায়িক নেতা
- এমন যে কেউ, যার অধীনে মানুষ আছে এবং সে দায়িত্ব পালন করে
আর ‘আদিল’ মানে — ইনসাফকারী, ন্যায়বিচারক, পক্ষপাতহীন।
🌟 *আল্লাহ কেন তাঁকে বিশেষ ছায়া দেবেন?
কারণ, শাসন করা দায়িত্বের পাশাপাশি বড় ফিতনার ক্ষেত্র।
ক্ষমতা, স্বার্থ, ঘুষ, পক্ষপাত — এসব থেকে বাঁচা কঠিন।
যে নেতা আল্লাহকে ভয়ে, সুবিচার করে, কারও প্রতি অবিচার করে না —
সে আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়।
🕌 *কুরআন ও হাদীসে এই গুণের গুরুত্ব:*
- "নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচার ও সৎকর্মের আদেশ দেন..."
(সূরা নাহল, আয়াত ৯০)
- রাসূল ﷺ বলেন:
"ন্যায়পরায়ণরা আল্লাহর কাছে নূরের মিম্বারে থাকবে..."
(সহিহ মুসলিম)
✅ আজকের প্রেক্ষাপটে:
একজন বাবা যদি তার সন্তানদের মাঝে ইনসাফ করে,
একজন ব্যবসায়ী যদি গ্রাহকদের হক আদায় করে,
একজন শিক্ষক যদি ছাত্রদের প্রতি ন্যায়বিচার করে —
তাহলেও সে এই ফজিলতের অংশীদার হতে পারে ইনশাআল্লাহ।
✅ দ্বিতীয় শ্রেণি:
*"وَشَابٌّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ اللَّهِ"*
অর্থ: যে যুবক আল্লাহর ইবাদতে বড় হয়েছে।
📌 এর ব্যাখ্যা:
এই শ্রেণির মানুষ হলো সেই যুবক বা যুবতী,
- যার জীবনের সবচেয়ে শক্তিশালী ও চঞ্চল সময়—যৌবনকাল
- তখন সে পাপ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে
- বরং নামাজ, কুরআন, সৎকাজ, আল্লাহভীতি ও ইবাদতে নিজেকে গড়ে তুলেছে
🌟 যৌবনের গুরুত্ব কেন বেশি?
- এই সময়টাই সবচেয়ে বেশি নফস ও শয়তানের চাপ থাকে
- পাপ করার সুযোগ, শক্তি, ইচ্ছা—সবকিছু বেশি থাকে
- তাই এই সময়েও যে আল্লাহর পথে থাকে, তার মর্যাদা অনেক বেশি
🕌 কুরআন ও হাদীসে গুরুত্ব:
- আল্লাহ কুরআনে বলেন:
“আমি তোমাকে (ইয়াহইয়া) শৈশবকাল থেকেই জ্ঞান দান করেছি।”
(সূরা মারইয়াম ১২)
- রাসূল ﷺ বলেন:
"কিয়ামতের দিন বান্দাকে ৫টি বিষয়ের হিসাব না দিয়ে নড়ানো হবে না, তার মধ্যে একটি:
যৌবনকাল কোথায় ব্যয় করেছো?"
(তিরমিজি)
✅ আজকের বাস্তবতায় কাদের মধ্যে এই গুণ থাকতে পারে?
- যে যুবক নামাজে নিয়মিত
- যিনি মোবাইল, ফেসবুক, ইন্টারনেটের ফিতনা থেকে নিজেকে বাঁচায়
- যে হারাম সম্পর্ক বা পোশাক থেকে দূরে থাকে
- ধর্মীয় ইলম চর্চা ও দ্বীন প্রচারে সময় দেয়
✅ তৃতীয় শ্রেণি:
*"وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِي الْمَسَاجِدِ"*
অর্থ: একজন ব্যক্তি যার হৃদয় মসজিদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।
📌 এর ব্যাখ্যা:
এখানে বোঝানো হয়েছে সেই মুসলমান,
- যিনি মসজিদে নামাজ পড়ে
- নামাজ শেষে বের হলেও মন পড়ে থাকে পরের নামাজ ও মসজিদের চিন্তায়
- সে দুনিয়ার কাজ করলেও তার হৃদয় মসজিদ ও ইবাদতের দিকেই ঝুঁকে থাকে
🌟 কেন এই গুণটি এত মূল্যবান?
- মসজিদ হচ্ছে আল্লাহর ঘর
- এই স্থানের প্রতি ভালোবাসা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার আলামত
- সময় পেলে সে মসজিদে যায়, শুধু ফরজ নয় — নফল, কুরআন তিলাওয়াতেও অংশ নেয়
🕌 কুরআন-হাদীসের দৃষ্টিতে:
"আল্লাহর ঘরে যেসব ব্যক্তি আসে-যায়, তাদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন..."
(সূরা তওবা, আয়াত ১৮)
- রাসূল ﷺ বলেন:
"মসজিদ হল সেই ব্যক্তির ঘর, যাকে আল্লাহ নিরাপত্তা দিবেন কিয়ামতের দিন।"
(তাবারানি)
✅ আজকের বাস্তবে কারা এই গুণ অর্জন করতে পারে?
- যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়ে
- যারা মসজিদের পরিচ্ছন্নতা বা খেদমতে অংশ নেয়
- যারা নামাজের সময় হয়ে গেলে দেরি করে না
✅ চতুর্থ শ্রেণি:
*"وَرَجُلَانِ تَحَابَّا فِي اللَّهِ، اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ"*
অর্থ: দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালোবাসে,
তাদের সাক্ষাৎ আল্লাহর জন্য এবং বিচ্ছেদও আল্লাহর জন্য
📌 ব্যাখ্যা:
এ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত তারাই,
- যারা স্বার্থ বা দুনিয়ার কারণে নয়,
- বরং আল্লাহর জন্য পরস্পরকে ভালোবাসে।
যেমন:
- তারা একসাথে দ্বীন শিখে
- একে অপরকে ভালো কাজে উৎসাহ দেয়
- পাপ থেকে দূরে রাখে
- আল্লাহর জন্যই মেলামেশা করে এবং দূরে গেলে সম্পর্ক ছিন্ন হয় না
🌟 আল্লাহর জন্য ভালোবাসা কেন এত ফজিলতপূর্ণ?
- কারণ, এ ভালোবাসা নিঃস্বার্থ ও খাঁটি
- এতে হিংসা, লোভ, রিয়া থাকে না
- এটা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়
🕌 কুরআন-হাদীস থেকে:
- রাসূল ﷺ বলেন:
"যারা আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালোবাসে, কিয়ামতের দিন তাদের জন্য নূরের মিম্বর হবে..."
(সহিহ মুসলিম)
- কুরআনে বলা হয়েছে:
"আল্লাহর প্রিয় বান্দারা পরস্পরের প্রতি দয়া ও ভালোবাসাপূর্ণ।"
(সূরা ফাতহ: ২৯)
✅ বর্তমানে এই গুণ যাদের মধ্যে থাকতে পারে:
- দ্বীনি বন্ধুরা যারা একে অপরকে নামাজ, কুরআন বা সৎকাজের দাওয়াত দেয়
- যারা আল্লাহর জন্যই বন্ধুত্ব গড়ে — দুনিয়ার স্বার্থ ছাড়াই
- যারা আল্লাহর ভয়ে পাপী বন্ধুকে সংশোধন করে, কিন্তু ত্যাগ করে না
✅ পঞ্চম শ্রেণি:
*"وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ، فَقَالَ: إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ"*
অর্থ: একজন যুবককে এমন এক সুন্দরী ও মর্যাদাবান নারী কুপ্রস্তাব দিলে, সে বলে— ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি’।
📌 ব্যাখ্যা:
এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত সেই ব্যক্তি—
- যার কাছে গুনাহের সুযোগ ছিল, এবং
- তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে এক উচ্চ মর্যাদার ও আকর্ষণীয় নারী,
- কিন্তু সে আল্লাহর ভয় দেখিয়ে পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখে।
🌟 কেন এটা এত ফজিলতের কাজ?
- কারণ, এ সময় পাপ করাটা সহজ ছিল
- সুযোগ ছিল, গোপন ছিল, ইচ্ছাও ছিল
- তবুও সে আল্লাহর ভয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছে
🕌 হাদিস ও ইসলামের ব্যাখ্যা:
- রাসূল ﷺ বলেন:
"আমি জানি এমন তিনজনকে যারা গোপনে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাদের সম্মানিত করবেন..."
(সহিহ হাদিস)
- কুরআনে বলা হয়েছে:
"যে আল্লাহকে ভয় করে, তাঁর জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান।"
(সূরা ত্বালাক ২)
✅ আধুনিক বাস্তবতায় এই গুণ কারা অর্জন করতে পারে?
- যে যুবক বা যুবতী হারাম সম্পর্কে না জড়িয়ে lower the gaze করে
- প্রলোভন বা চাপ সত্ত্বেও Zina বা অশ্লীল কাজ থেকে নিজেকে রক্ষা করে
- নিজেকে হালাল সম্পর্ক পর্যন্ত সংযম রাখে
✅ ষষ্ঠ শ্রেণি:
*"وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ، فَأَخْفَاهَا، حَتَّى لَا تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ"*
অর্থ: এক ব্যক্তি গোপনে সদকা করে, এমনভাবে যে ডান হাত যা দান করে, বাম হাতও তা জানতে পারে না।
📌 ব্যাখ্যা:
এই শ্রেণিতে তাঁরা আসেন—
- যারা *রিয়া (লোক দেখানো)* ছাড়াই
- একান্ত গোপনে *আল্লাহর জন্য দান করে*
- এমন নিখুঁত গোপনীয়তা রাখে, যেন কেউ জানতেও না পারে
🌟 গোপনে সদকা করা কেন এত ফজিলতের?
- কারণ, দান করার সময় রিয়া বা সুনাম পাওয়ার ঝুঁকি থাকে
- কিন্তু যে শুধু আল্লাহর জন্য দান করে, তার অন্তর খাঁটি
- সে চায় না মানুষ জানুক বা প্রশংসা করুক—শুধু আল্লাহ জানলেই যথেষ্ট
🕌 হাদিস ও কুরআনের ব্যাখ্যা:
- আল্লাহ বলেন:
"তোমরা যদি দান গোপনে করো, তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম..."
(সূরা বাকারা: ২৭১)
- রাসূল ﷺ বলেন:
"গোপনে সদকা আগুন নিভিয়ে দেয়..."
(তিরমিজি)
✅ আজকের প্রেক্ষাপটে এই গুণ কারা অর্জন করতে পারে?
- যারা মানুষের দেখানোর জন্য নয়, আল্লাহর জন্যই দান করে
- সামাজিক মিডিয়ায় দান প্রচার না করে গোপন রাখে
- আত্মীয়, প্রতিবেশী, দরিদ্রদের সহযোগিতা করে কোনো প্রচার ছাড়া
✅ সপ্তম শ্রেণি:
*"وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا، فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ"*
অর্থ: এক ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে, ফলে তার চোখ অশ্রু প্রবাহিত করে।
📌 ব্যাখ্যা:
এই শ্রেণির মানুষ সেই ব্যক্তি—
- যে নিঃসঙ্গ, নির্জন অবস্থায়
- কাউকে না দেখিয়ে বা শোনানোর উদ্দেশ্য ছাড়াই
- আল্লাহর ভয়, ভালোবাসা বা লজ্জায় কাঁদে
🌟 এ কাঁদা কত মূল্যবান?
- এটা লোক দেখানো নয়, একান্ত হৃদয় থেকে আসে
- আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্কের নিদর্শন
- এতে আল্লাহর কাছে দোয়া কবুল হয়, গুনাহ মাফ হয়
🕌 কুরআন ও হাদীস থেকে:
- রাসূল ﷺ বলেন:
“দুই চোখকে আগুন স্পর্শ করবে না— এক হলো আল্লাহর ভয়ে কাঁদা চোখ।”
(তিরমিজি)
- কুরআনে বলা হয়:
“তারা সিজদায় পড়ে কাঁদে এবং তাদের বিনয় বাড়ে।”
(সূরা ইসরা: ১০৯)
✅ বর্তমানে এই গুণ কারা অর্জন করতে পারে?
- গভীর রাতে তাহাজ্জুদে যারা কাঁদে
- যারা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা বা নিজের গুনাহ স্মরণ করে কাঁদে
- যারা দুনিয়ার ঝামেলায় নয়, বরং আল্লাহর জন্য কান্না করে
এভাবেই এই সাত শ্রেণির মানুষ কিয়ামতের ভয়ংকর দিনে বিশেষ নিরাপত্তা ও সম্মান পাবেন।
আল্লাহ আমাদের অন্তত একটি গুণ অর্জন করার তৌফিক দিন। آمين 🤲