پھر کرم ہو گیا میں مدینے چلا | পুনরায় করম (অনুগ্রহ) হলো, আমি মদীনার পথে রওনা হলাম | উর্দু গজল লিরিক্স | URDU GOJOL LYRICS | বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যা |

 پھر کرم ہو گیا میں مدینے چلا

پھر کرم ہو گیا میں مدینے چلا

میں مدینے چلا میں مدینے چلا


کیف و مستی عطا مجھ کو کر دے خدا

مانگتا یہ دعا میں مدینے چلا


اے شجر اے ہجر تم بھی شمس و قمر

دیکھو دیکھو ذرا میں مدینے چلا


مسکرانے لگی دل کی اک اک کلی

غنچۂ دل کھلا میں مدینے چلا


پھر اجازت ملی جب خبر یہ سنی

دل مرا جھوم اٹھا میں مدینے چلا


وہ اُحد کی زمیں جس کے اندر مکیں

میرے حمزہ پیا میں مدینے چلا


جو ہیں محبوب رب اپنی ان سے ہی سب

بخشوانے خطا میں مدینے چلا


ان کے مینار پر جب پڑے گی نظر

کیا سرور آئے گا میں مدینے چلا


ہاتھ اٹھتے رہے، مجھ کو دیتے رہے

وہ طلب کے سوا میں مدینے چلا


کیا کرے گا اِدھر، باندھ رختِ سفر

چل عبیدِ رضؔا میں مدینے چلا

এই সুন্দর উর্দু নাতের বাংলা অনুবাদ নিচে দেওয়া হলো:

পুনরায় করম (অনুগ্রহ) হলো, আমি মদীনার পথে রওনা হলাম,  

আমি মদীনায় চলেছি, আমি মদীনায় চলেছি।

আল্লাহ যেন আমাকে দান করেন তাওয়াজ্জুহ ও মস্তি,  

এই দোয়াটাই করছি — আমি মদীনায় চলেছি।  

হে বৃক্ষ, হে হিজর (বিচ্ছেদ), হে সূর্য-চাঁদ,

তোমরাও দেখো — আমি মদীনায় চলেছি।

হৃদয়ের প্রতিটি কুঁড়ি হাসতে শুরু করেছে,

প্রেমের কুঁড়ি ফুটে উঠেছে — আমি মদীনায় চলেছি।

পুনরায় অনুমতি পেলাম, এই খবর শুনেই,

আমার মন আনন্দে নেচে উঠলো — আমি মদীনায় চলেছি।

ওই উহুদের ভূমি, যার বুকে বিশ্রাম নিচ্ছেন, 

আমার প্রিয় হামযা (রা.) — আমি মদীনায় চলেছি।

যাঁরা আল্লাহর প্রিয়, তাঁদের মাধ্যমেই সব কিছু, 

তাঁদের মাধ্যমেই চাই পাপমুক্তি — আমি মদীনায় চলেছি।  

যখন চোখ পড়বে তাঁদের মিনারে,

কি এক অপূর্ব তৃপ্তি আসবে! — আমি মদীনায় চলেছি।  

তাঁদের হাত উঠছিল, আমায় দিচ্ছিল দোয়া,

শুধু প্রার্থনাই ছিল চাওয়া — আমি মদীনায় চলেছি।

আর কী করবি এখানে? প্রস্তুত কর চলার সাথসামগ্রী,  

চল, হে উবায়েদে রজা — আমি মদীনায় চলেছি।


বিশেষ দ্রষ্টব্য:

নাম: عبیدِ رضاؔ (উবায়েদে রজা) — সম্ভবত কবির তাখাল্লুস (ছদ্মনাম)।

নিচে পঙ্‌ক্তি ধরে ধরে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

১. পুনরায় করম (অনুগ্রহ) হলো, আমি মদীনার পথে রওনা হলাম 

→ কবি বলছেন, আল্লাহর দয়ায় তিনি আবার মদীনার সফরের সুযোগ পেয়েছেন। এটি তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ।

২. আল্লাহ যেন আমাকে দান করেন তাওয়াজ্জুহ ও মস্তি 

→ তিনি দোয়া করছেন যেন আল্লাহ তাঁকে ইখলাস (তাওয়াজ্জুহ) ও রূহানিয়াতের মত্ততা দান করেন, যাতে তিনি মদীনার সফর উপভোগ করতে পারেন আত্মিকভাবে।

৩. হে বৃক্ষ, হে হিজর (বিচ্ছেদ), হে সূর্য-চাঁদ...

→ প্রকৃতির সবকিছুকে সম্বোধন করে কবি বলছেন, এই আনন্দঘন মুহূর্তের সাক্ষী থাকো — আমি মদীনার দিকে যাচ্ছি!

৪. হৃদয়ের প্রতিটি কুঁড়ি হাসতে শুরু করেছে...  

→ কবির অন্তর ভালোবাসায় উথলে উঠেছে, তাঁর প্রাণ আনন্দে ভরে উঠেছে — যেন প্রেমের ফুল ফুটেছে।

৫. পুনরায় অনুমতি পেলাম, এই খবর শুনেই...  

→ মদীনায় যাওয়ার অনুমতি পাওয়া তাঁর জন্য এত বড় আনন্দ, যেন পুরো মন নেচে উঠেছে।

৬. ওই উহুদের ভূমি, যার বুকে বিশ্রাম নিচ্ছেন, আমার প্রিয় হামযা (রা.)... 

→ কবি উল্লেখ করছেন, যে ভূমিতে হযরত হামযা (রাঃ) শহীদ হয়েছেন এবং সমাহিত আছেন, সেই মদীনার জমিনে তিনি যাচ্ছেন — এটি তাঁর জন্য বড় সৌভাগ্য।

৭. যাঁরা আল্লাহর প্রিয়, তাঁদের মাধ্যমেই সব কিছু...

→ আল্লাহর প্রিয় বান্দারা (বিশেষত নবীজী ﷺ) হলেন আল্লাহর রহমতের বাহক। কবি তাঁদের মাধ্যমে ক্ষমা চাচ্ছেন।

৮. যখন চোখ পড়বে তাঁদের মিনারে...  

→ নবীজির ﷺ মসজিদের মিনারে তাকালেই এক অপার্থিব তৃপ্তি, শান্তি ও ভালোবাসা অনুভব হবে।

৯. তাঁদের হাত উঠছিল, আমায় দিচ্ছিল দোয়া...

→ কবি অনুভব করছেন যেন তাঁকে নবীজির পক্ষ থেকে দোয়া দেওয়া হচ্ছে, যা তাঁর সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য।

১০. আর কী করবি এখানে? প্রস্তুত কর চলার সাথসামগ্রী... 

→ কবি নিজেকেই আহ্বান করছেন — আর বিলম্ব নয়, মদীনার পথে রওনা হও। আর অপেক্ষা নয়।

---

সারকথা:

এই নাতে-কবিতায় একজন মুমিনের হৃদয়ের আকুলতা, মদীনা সফরের সৌভাগ্য, আত্মিক আনন্দ এবং নবীজী ﷺ-এর প্রতি ভালোবাসার গভীর বহিঃপ্রকাশ পাওয়া যায়। এটি শুধু একটি কবিতা নয়, বরং এক মুসলমানের হৃদয়ের ভাষা, চোখের অশ্রু এবং আল্লাহর পথে যাত্রার প্রস্তুতির এক নিবেদন।

এই কবিতাটি একজন গভীরভাবে প্রেমাবিষ্ট মুসলমানের মদীনার প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা, ভালোবাসা ও আত্মসমর্পণের এক অপূর্ব প্রকাশ। 


পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
মতামত লিখুন
comment url