নামাজের ১১ টি সূরা বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অর্থসহ | নামাজ শিক্ষা | বয়স্ক শিক্ষা |

নামাজের ১১ টি সূরা বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অর্থসহ।

আল-ফাতিহা-এর আরবি পাঠ, উচ্চারণ (বাংলা হরফে) এবং অর্থ দেওয়া হলো:

সূরা আল-ফাতিহা (সূরা নম্বর: ১)

আরবি:

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ  

  1. الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ  
  2. الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ  
  3. مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ  
  4. إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ  
  5. اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ  
  6. صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ  
  7. غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

আল-ফাতিহা-এর বাংলা উচ্চারণ দেওয়া হলো:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম  

  1. আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন  
  2. আর-রাহমানির রাহিম  
  3. মালিকি ইয়াওমিদ্দিন  
  4. ইইয়াকা নাআবুদু ওয়া ইইয়াকা নাস্তাঈন  
  5. ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম  
  6. সিরাতাল্লাযিনা আনআমতা আলাইহিম, 
  7. গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালা দ্বাল্লিন  

(আমিন)

বাংলা অর্থ:

পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু।  

  1. সকল প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি সকল সৃষ্টি জগতের প্রতিপালক।  
  2. যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু।  
  3. যিনি বিচার দিনের মালিক।  
  4. আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং কেবল তোমারই সাহায্য চাই।  
  5. আমাদের সরল পথ দেখাও।  
  6. তাদের পথ, যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছো; 
  7. তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নেমে এসেছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

বি.দ্র.: উচ্চারণ সহজবোধ্য রাখতে বাংলায় সাধারণ ধ্বনিগত রূপ ব্যবহার করা হয়েছে। কোরআন তেলাওয়াত শুদ্ধভাবে শেখার জন্য আরবি জানা ও কোনো ক্বারির কাছ থেকে শিখে নেওয়া উত্তম।

(নামাজের মধ্যকার দোয়া শেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন)

নিচে সূরা ফীল-এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ দেওয়া হলো:

সূরা আল-ফীল (সূরা ১০৫)


আরবি পাঠ ও বাংলা উচ্চারণ:

  1.  أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ
  2.  أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ
  3.  وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ
  4.  تَرْمِيهِمْ بِحِجَارَةٍ مِّن سِجِّيلٍ
  5.  فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُولٍ


  1. আলাম তারা কাইফা ফা‘আলা রাব্বুকা বি-আসহাাবিল ফীল।
  2. আলাম ইয়াজ‘আল কাইদাহুম ফি তাদলীল।
  3. ওয়া আরসালা আলাইহিম তায়রান আবাবীল।
  4. তার্মীহিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জীল।
  5. ফা-জা‘আলাহুম কা‘আসফিম মা’কূল।

অর্থ: 

  1. তুমি কি দেখোনি, তোমার প্রতিপালক হাতি-ওয়ালাদের সঙ্গে কী করলেন?
  2. তিনি কি তাদের চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেননি?
  3. এবং তিনি তাদের ওপর প্রেরণ করেছিলেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি,
  4. যারা তাদের ওপর নিক্ষেপ করছিল পাথরকুচি পাথর,
  5. অতঃপর তিনি তাদেরকে খাওয়া তৃণসদৃশ করে দিলেন।

এই সূরাটি আব্রাহা ও তার হাতি বাহিনীর কাবা আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অবতীর্ণ হয় এবং আল্লাহর কুদরতের এক মহান নিদর্শন তুলে ধরে।


সূরা কুরাইশ-এর (সূরা ১০৬) বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ দেওয়া হলো:

সূরা কুরাইশ (قُرَيْش)

আরবি ও বাংলা উচ্চারণ:

1. لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ

2. إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ

3. فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ

4. الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ 

5. وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ

উচ্চারণ:

  1. লি-ইলা-ফি কুরাইশিন।
  2. ইলা-ফিহিম রিহলাতাশ্-শিতাই ওয়াছ্-ছাইফ।
  3. ফাল্-ইয়া‘বুদু রাব্বা হা-জাল বাইত।
  4. আল্লাযী আত‘আমাহুম মিন জু’ঈঁ।
  5. ওয়া আমানাহুম মিন খাউফ।

অর্থ: 

  1. কুরাইশ গোত্রের সহানুভূতির কারণে,
  2. তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের সহানুভূতির কারণে।
  3. অতএব তারা যেন এই ঘরের (কাবার) প্রভুর ‘ইবাদত করে,
  4. যিনি তাদেরকে ক্ষুধা থেকে আহার দিয়েছেন 
  5. এবং ভয়ের থেকে নিরাপদ করেছেন।

এই সূরায় কুরাইশ গোত্রকে আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতের স্মরণ করিয়ে তাদের প্রতি তাঁর ইবাদতের আহ্বান জানানো হয়েছে।


নিচে সূরা মাউন (সূরা ১০৭)-এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ দেওয়া হলো:

সূরা আল-মাউন (الماعون)

আরবি ও বাংলা উচ্চারণ:

  1.  أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ
  2. فَذَٰلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ
  3. وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ
  4. فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ
  5. الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
  6. الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ
  7. وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ

উচ্চারণ:

  1. আরা'আইতাল্লাযী ইউকায্‌যিবু বিদ্দীন।
  2. ফাযালিকাল্লাযী ইয়াদু‘‘উল-ইয়াতীম।
  3. ওয়া লা ইয়াহু‘‘দ্দু ‘আলা ত‘আমিল মিসকীন।
  4. ফাওয়াইলুল্লিল্ মুসল্লীন।
  5. আল্লাযীনা হুম ‘আন ছালাতিহিম সাহূন।
  6. আল্লাযীনা হুম ইউরাউন।
  7. ওয়া ইয়ামনা‘উনাল-মাউন।

অর্থ: 

  1. আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে বিচার দিবসকে মিথ্যা বলে?
  2.  তিনিই তো এতিমকে তাড়িয়ে দেয়,
  3. এবং মিসকিনকে (গরিবকে) খাদ্য দিতে উৎসাহিত করে না।
  4. অতএব দুর্ভোগ সে নামায আদায়কারীদের জন্য,
  5. যারা তাদের নামাযে অমনোযোগী।
  6. যারা লোক দেখানোর জন্য (ইবাদত করে)।
  7. এবং সাধারণ উপকার (সাহায্য) করতে বিরত থাকে।

এই সূরায় নামাযে গাফিলতা, লোক দেখানো ইবাদত, গরিব-দুঃখীদের সাহায্যে অনীহা এবং মানবতার সেবার প্রতি অবহেলার নিন্দা করা হয়েছে।


নিচে সূরা কাউসার (সূরা ১০৮) এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ দেওয়া হলো:

সূরা আল-কাউসার (الكوثر)

  1. إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
  2. فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
  3. إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ

উচ্চারণ:

  1. ইন্না আ'ত্বাইনা-কাল কাওসার।
  2. ফা-সল্লি লি-রাব্বিকা ওয়ানহার।
  3. ইন্না শানিয়াকা হুয়াল-আবতার।

অর্থ 

  1. নিশ্চয়ই আমি তোমাকে কাউসার দান করেছি।
  2. অতএব, তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো এবং কুরবানি করো।
  3. নিশ্চয়ই তোমার শত্রুই হলো নির্বংশ।

ব্যাখ্যা সংক্ষেপে:

এই সূরায় আল্লাহ তাঁর নবী (সা.)-কে জানিয়ে দিচ্ছেন যে তিনি তাঁকে "আল-কাউসার" (অধিক কল্যাণ ও বরকতের উৎস) দান করেছেন। এর জন্য তিনি আল্লাহর ইবাদত করতে বলেন এবং জানিয়ে দেন—যারা নবীজিকে ঘৃণা করে, তারা-ই প্রকৃত নির্বংশ।


নিচে সূরা আল-কাফিরুন (সূরা ১০৯)-এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ দেওয়া হলো:

সূরা আল-কাফিরুন (الكافرون)

আরবি ও বাংলা উচ্চারণ:

  1. قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
  2. لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
  3. وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
  4. وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
  5. وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
  6. لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
উচ্চারণ:

  1. কুল্ ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন।
  2. লা আ'বুদু মা তা'বুদুন
  3. ওয়া লা আনতুম 'আবিদুনা মা আ'বুদ।
  4.  ওয়া লা আনা ‘আবিদুম মা ‘আবাত্তুম।
  5. ওয়া লা আনতুম ‘আবিদুনা মা আ'বুদ।
  6. লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।

অর্থ: 

  1. বলুন, হে কাফিরগণ!
  2. আমি উপাসনা করি না সেইকে, যাকে তোমরা উপাসনা করো।
  3. এবং তোমরাও উপাসনা করো না তার, যার আমি উপাসনা করি।
  4. এবং আমিও উপাসনা করবো না তার, যাকে তোমরা উপাসনা করো।
  5. এবং তোমরাও উপাসনা করবে না তার, যার আমি উপাসনা করি।
  6. তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম, আর আমার জন্য আমার ধর্ম।

বার্তা

এই সূরায় ইসলাম ও কুফরের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য ও সীমারেখা টেনে দেওয়া হয়েছে। মুসলমানদের আক্বিদা ও ইবাদত কাফিরদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন — এটা ঘোষণা করাই এই সূরার উদ্দেশ্য।

 নিচে সূরা আন্-নাসর (সূরা ১১০)-এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ দেওয়া হলো:


সূরা আন্-নাসর (النصر)

আরবি ও বাংলা উচ্চারণ:

  1. إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ
  2. وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
  3. فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ ۚ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا

উচ্চারণ:

  1. ইযা জা'আ নাছরুল্লাহি ওয়াল-ফাত্‌হু
  2. ওয়া রা'আইতান্-নাসা ইয়াদখুলূনা ফী দীনিল্লাহি আফ্‌ওয়াজা।
  3. ফাসাব্বিহ্‌ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াস্‌তাগ্‌ফির্‌হু, ইন্নাহূ কানা তাওয়্বাবা

অর্থ: 

  1. যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসে,
  2. এবং আপনি দেখবেন মানুষ দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করছে,
  3. তখন আপনি আপনার প্রতিপালকের প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি তাওবা কবুলকারী।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:

এই সূরাটি নবী মুহাম্মদ ﷺ-কে জানিয়ে দেয় যে, ইসলামের বিজয় যখন আসবে, তখন তাঁর উচিত হবে আল্লাহর প্রশংসা করা এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া, কারণ তাঁর দায়িত্ব পূর্ণ হয়েছে এবং বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে।


নিচে সূরা আল-লাহাব (সূরা ১১১)-এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ দেওয়া হলো:

সূরা আল-লাহাব (المسد / تَبَّتْ)

আরবি ও বাংলা উচ্চারণ:

  1. تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
  2. مَا أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
  3. سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
  4. وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ
  5. فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ

উচ্চারণ:

  1. তাব্বাত ইয়াদা আবী লাহাবিওঁ ওয়াতাব্ব।
  2. মা আগনা ‘আনহু মালুহু ওয়া মা কাসাব।
  3. সায়াসলা নাৰাঁওঁ যায়াতা লাহাব।
  4. ওয়াম্‌রআতুহু হাম্মালাতাল-হাতাব।
  5. ফী জীদিহা হাবলুম্ মিম্ মাসাদ।

অর্থ: 

  1. ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুই হাত, এবং সে নিজেও ধ্বংস হোক!
  2. তার ধন-সম্পদ ও উপার্জন কিছুই তার কোন কাজে আসবে না।
  3. সে প্রবেশ করবে লেলিহান আগুনে।
  4. এবং তার স্ত্রী — যে আগুন জ্বালানোর জন্য কাঠ বহন করত।
  5. তার গলায় থাকবে শক্ত পাকানো রশি।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:

এই সূরাটি নবী মুহাম্মদ ﷺ-কে বিরোধিতা করা আবু লাহাব এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষ থেকে ধ্বংসের ঘোষণা। এটি কুরআনের একমাত্র সূরা যেখানে একজন কাফেরের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাঁর অনিবার্য পরিণতি জানানো হয়েছে।


নিচে সূরা ইখলাস (সূরা ১১২)-এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ দেওয়া হলো:

সূরা আল-ইখলাস (الإخلاص)

আরবি ও বাংলা উচ্চারণ:

  1. قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
  2. اللَّهُ الصَّمَدُ
  3. لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
  4. وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণ:

  1. কুল হুয়াল্লাহু আহাদ
  2. আল্লাহুস্‌ সামাদ
  3. লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ
  4. ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূ কুফুয়ান আহাদ

অর্থ: 

  1. বলুন, তিনি আল্লাহ, একমাত্র।
  2. আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (সবকিছু তাঁর মুখাপেক্ষী)।
  3. তিনি না জন্ম দিয়েছেন, আর না জন্মগ্রহণ করেছেন।
  4. এবং তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:

এই সূরাটি আল্লাহর একত্ব, অদ্বিতীয়তা ও স্বনির্ভরতা তুলে ধরে। এতে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তিনি কারো মতো নন, কারো থেকে জন্মাননি এবং কাউকে জন্ম দেননি। এটি তাওহিদের শক্ত বার্তা বহন করে।


নিচে সূরা আল-ফালাক (সূরা ১১৩)-এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ দেওয়া হলো:

সূরা আল-ফালাক (الفلق)

আরবি ও বাংলা উচ্চারণ:

  1. قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
  2. مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
  3. وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
  4. وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
  5. وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

উচ্চারণ:

  1. কুল, আউযু বিরাব্বিল ফালাক।
  2. মিন শাররি মা খালাক।
  3. ওয়া মিন শাররি গাসিকিন ইযা ওয়াকাব।
  4. ওয়া মিন শাররিন্নাফ্‌ফাসাতি ফিল উকাদ।
  5. ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইজা হাসাদ।

অর্থ:

  1. বলুন, আমি আশ্রয় চাই উষার প্রতিপালকের নিকট।
  2. তাঁর সৃষ্টি জিনিসসমূহের অনিষ্ট থেকে।
  3. অন্ধকার নেমে এলে তার অনিষ্ট থেকে।
  4. গাঁটে ফুঁ দেয়া জাদুকারিণীদের অনিষ্ট থেকে।
  5. এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:

এই সূরাটি আল্লাহর কাছে সকল প্রকার বাহ্যিক অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোয়া। এটি বিশেষভাবে জাদু, হিংসা ও অন্ধকার রাতের অজানা ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা চায়। নিয়মিত এই সূরা পাঠ করা আত্মা ও বিশ্বাসকে নিরাপত্তা দেয়।


নিচে সূরা আন্-নাস (সূরা ১১৪) এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ দেওয়া হলো:

সূরা আন্-নাস (سورة الناس)

আরবি ও বাংলা উচ্চারণ:

  1. قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
  2. مَلِكِ النَّاسِ
  3. إِلَٰهِ النَّاسِ
  4. مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
  5. الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
  6. مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
উচ্চারণ 

  1. কুল আউযু বিরাব্বিন্ নাস।
  2. মালিকিন্ নাস।
  3. ইলাহিন্ নাস।
  4. মিন্ শাররিল ওয়াসওয়াসিল খান্নাস।
  5. আল্লাযী ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন্ নাস।
  6. মিনাল-জিন্নাতি ওয়ান্ নাস।

অর্থ: 

  1. বলুন, আমি আশ্রয় চাই মানুষের প্রতিপালকের।
  2. মানুষের অধিপতির।
  3. মানুষের উপাস্যর।
  4. কুমন্ত্রণা দানকারী অদৃশ্য কু।
  5. মন্ত্রণাকারীর অনিষ্ট থেকে।
  6. যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে।
  7. জিন ও মানুষের মধ্য থেকে।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:

এই সূরায় আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে অন্তরে কুমন্ত্রণা দানকারী শয়তানের অনিষ্ট থেকে, যে জিন ও মানুষের মধ্যে থেকে মানুষকে বিপথে চালায়। এটি মানবজাতিকে আত্মিক নিরাপত্তা ও আল্লাহর আশ্রয়ের প্রয়োজনীয়তা শেখায়।


পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
মতামত লিখুন
comment url